গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ শেখ চাকরি ফিরে পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। ৬ ছেলেমেয়ে নিয়ে নিদারুণ দুঃখ কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তিনি। ছেলেমেয়েদের মুখে তুলে দিতে পারছেন না দু’মুঠো ভাত। চাকরি হারিয়ে ছেলেমেয়েদের বড় করতে ও নিজের চিকিৎসার জন্য জায়গা-জমি খুইয়েছেন। তিনি জাতীয় প্যারেড সদস্য। প্যারেট পোশাক পরে ১৬ ডিসেম্বরে প্যারেটে অংশ নেবেন। কিন্তু এ পোশাকের আড়ালে লুকিয়ে আছে তার দুঃখ-বেদনা।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বনগ্রামের আব্দুর রউফ শেখ ১৯৬৯ সালে পূর্ব পাকিস্তান পুলিশের সিপাই পদে চাকরি শুরু করেন। তিনি রাজারবাগ পুলিশ হেড কোয়ার্টারের এ কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে পাকবাহিনী হামলা করে। এ সময় যুদ্ধ করতে গিয়ে আব্দুর রউফ গুলিবিদ্ধ হন। তিনি গোপালগঞ্জে ফিরে এসে শহরের ডা. রমানাথ বিশ্বাসের কাছ থেকে চিকিৎসা নেন। সুস্থ হয়ে নিজগ্রাম সদর উপজেলার বনগ্রামের যুবকদের নিয়ে সংগঠিত করে ট্রেনিং দিয়ে মুক্তি বাহিনী গঠন করেন। পাক বাহিনী বিষয়টি টের পেয়ে গেলে আব্দুর রউফ গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে ঢাকা চলে যান।
পরে কাদেরিয়া বাহিনীতে যোগ দিয়ে যুদ্ধে অংশ নেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। জিয়াউর রহমানের সময়ে তিনি চাকরিচ্যুত হন। তাকে কোনো পেনশন প্রদান করা হয়নি। এরপর থেকে প্রধানমন্ত্রীসহ পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে অবেদন করেও তিনি চাকরি ফিরে পাননি। তিনি চাকরি ফিরে পেতে ধরনা দিয়ে চলেছেন। দরিদ্রতার মধ্যে তার দিন কাটছে।
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ শেখ বলেন, ‘যুদ্ধ করতে গিয়ে আমি গুলিবিদ্ধ হই। দেশ স্বাধীন হলে পুলিশে যোগ দেই। প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর প্যারেট গ্রাউন্ডে প্যারেটে অংশ নেই।